সময়ের কসম! মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে | সূরা আল-আসর ১০৩ | Surah Al-'Asr 103

সময়ের কসম! মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে | সূরা আল-আসর ১০৩ | Surah Al-'Asr 103

আয়াত ও সূরা সম্পর্কে | সূরা আল-আসর ১০৩

বিষয় সময়ের কসম! মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে
সূরার নাম ও নম্বর সূরা আল-আসর (১০৩)
সূরার ধরণ মাক্কী সূরা
আয়াত নম্বর ১-৩
রুকু ক্রম ৫৪৭
পারা বিস্তৃতি ৩০
মোট আয়াত সংখ্যা ৩ টি
وَٱلْعَصْرِ
إِنَّ ٱلْإِنسَـٰنَ لَفِى خُسْرٍ
إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلْحَقِّ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلصَّبْرِ

সময়ের কসম,
নিশ্চয় সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্ততায় নিপতিত।
তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।

সূরা আল-আসর এর ১-৩ নম্বর আয়াতের বিস্তারিত

মহাকালের শপথ। [১]

[১] 'মহাকাল' বলতে দিবারাত্রির আবর্তন-বিবর্তনকে বুঝানো হয়েছে। রাত্রি উপনীত হলে অন্ধকার ছেয়ে যায়। আর দিন প্রকাশ পেতেই সমস্ত জিনিস উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এ ছাড়া রাত কখনো লম্বা আর দিন ছোট, আবার দিন কখনো লম্বা আর রাত ছোট হয়ে থাকে। এই দিবারাত্রি অতিবাহিত হওয়ার নামই হল কাল, যুগ বা সময়; যা আল্লাহর কুদরত (শক্তি) ও কারিগরি ক্ষমতা প্রমাণ করে। আর এ জন্যই তিনি কালের কসম খেয়েছেন। পূর্বেই বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পাক নিজ সৃষ্টির যে কোন বস্তুর কসম খেতে পারেন। কিন্তু মানুষের জন্য আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারোর নামে কসম খাওয়া বৈধ নয়।

(অনেকের মতে العَصر মানে আসরের সময় বা নামায। বলা বাহুল্য মহান সৃষ্টিকর্তা সেই জিনিসেরই কসম খেয়ে থাকেন, যার বড় গুরুত্ব আছে। -সম্পাদক)

মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। [১]

[১] এটি হল কসমের জওয়াব। মানুষের ক্ষতি ও ধ্বংস সুস্পষ্ট। যেহেতু যতক্ষণ সে জীবিত থাকে ততক্ষণ তার দিনরাত মেহনত ও পরিশ্রমের সাথে অতিবাহিত হয়। অতঃপর সে যখন মৃত্যু বরণ করে তখনও তার আরাম ও শান্তি নসীব হয় না। বরং সে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হয়।

কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে[১] এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয়। [২] আর উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারণের। [৩]

[১] তবে ক্ষতি হতে সেই ব্যক্তিরা নিরাপত্তা লাভ করবে, যারা ঈমান এনে নেক আমল করবে। কেননা, তার পার্থিব জীবন যেমনভাবেই অতিবাহিত হোক না কেন, মৃত্যুর পর সে চিরস্থায়ী নিয়ামত এবং জান্নাতের চিরসুখ লাভ করে ধন্য হবে। পরবর্তীতে মু'মিনদের আরো কিছু গুণ বর্ণনা করা হয়েছে।

[২] অর্থাৎ, তারা একে অপরকে আল্লাহ তাআলার শরীয়তের আনুগত্য করার এবং নিষিদ্ধ বস্তু এবং পাপাচার হতে দূরে থাকার উপদেশ দেয়।

[৩] অর্থাৎ, মসীবত ও দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য, শরীয়তের হুকুম-আহকাম ও ফরযসমূহ পালন করতে ধৈর্য, পাপাচার বর্জন করতে ধৈর্য, কামনা-বাসনা ও কুপ্রবৃত্তিকে দমন করতে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়। যদিও ধৈর্যধারণের উপদেশ সত্যের উপদেশেরই অন্তর্ভুক্ত, তবুও তা বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তাতে ধৈর্যধারণ ও তার উপদেশের মর্যাদা, মাহাত্ম্য এবং সুচরিত্রতায় তার পৃথক বৈশিষ্ট্য থাকার কথা সুস্পষ্ট হয়ে যায়।

~ তাফসীর আহসানুল বায়ান

রেফারেন্স | সূরা আল-আসর ১০৩:১

কোনো ভুল পেলে রিপোর্ট করুন!

ছবি ডাউনলোড (High Quality)

ছবি ডাউনলোড টিপস: উপরের ডাউনলোড করুন বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তী পেইজে ছবিটি আপনার ব্রাউজারে ওপেন হবে। ছবিটির ওপর প্রেস করে ধরে রাখুন। তারপর 'Download Image/Save Image' এ ক্লিক করুন। তাহলেই ছবিটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। (টিউটোরিয়াল দেখুন)